আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত্যুর আগে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ধরে তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বুয়েনস আইরেসের তিগ্রে এলাকায় নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা। তবে ফরেনসিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তার চিকিৎসায় গুরুতর অবহেলা করা হয়েছিল।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কার্লোস ক্যাসিনেলি আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, ম্যারাডোনার হৃদপিণ্ড সম্পূর্ণরূপে চর্বি ও রক্তজমাটে আবৃত ছিল, যা দীর্ঘ সময় ধরে তার কষ্টের ইঙ্গিত দেয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এটি হঠাৎ ঘটেনি—কয়েক দিন ধরে তার শরীরে পানি জমছিল, যা সঠিক সময়ে শনাক্ত করা গেলে মৃত্যু এড়ানো যেত।”
আদালতের অভিযোগ অনুসারে, ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নার্সসহ মোট সাতজন পেশাদার তার চিকিৎসায় অবহেলার দায়ে অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নেননি, যা ম্যারাডোনার মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছিল। তদন্তে আরও প্রকাশ, মৃত্যুর আগে তার মুখ ও পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গিয়েছিল।
এই মামলার শুনানি চলমান এবং অভিযুক্তদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আদালতের রায়ে। ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে—এটি কি প্রকৃতই একটি স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল, নাকি চিকিৎসাকর্মীদের অবহেলার ফল? বিশ্বজুড়ে কোটি ফুটবলভক্তের কাছে এটি একটি অমীমাংসিত রহস্য হিসেবেই রয়ে গেছে।