৮ মার্চ প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি সংস্থা স্টারলিংকের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে। চুক্তিগুলোর মধ্যে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
স্টারলিংক স্যাটেলাইটভিত্তিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা এবং এই সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। ১৩ই ফেব্রুয়ারি তার সাথে ভিডিও কলে আলোচনা করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই আলোচনায় ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করেন তারা। প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে স্পেসএক্স টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় করার জন্য তার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দেন।
স্টারলিংক টিমের এই সফরের ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছে বলে জানা গেছে। কিছু জায়গায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে, আবার কিছু জায়গায় স্টারলিংক হাইটেক পার্কের জায়গা বিবেচনা করছে।
বাংলাদেশের অনেক গ্রাম ও পাহাড়ি অঞ্চলে এখনও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌছেনি। এছাড়াও রয়েছে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা থেকে মুক্ত অবস্থায় নির্ভরযোগ্য ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে। এতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করা হবে।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি ‘সেনসিবল মডেল’ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’’
আগামী ৯ এপ্রিল দেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে বলে গত রোববার তথ্য দিয়েছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে। দিনকে টেস্ট ডে বা ডেমো ডে নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।