পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত বৈশাখী মেলাকে ঘিরে এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। মাটির তৈরি বাহারি খেলনা, পুতুল ও গৃহস্থালী সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন এই শিল্পের কারিগররা।
শিল্পীদের তৈরি মাটির পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে রঙিন পুতুল, হাতি, ঘোড়া, পাখি, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি। শিশুদের কাছে এসব পণ্যের কদর বরাবরই বেশি। পাশাপাশি মাটির ব্যাংক, চায়ের কাপ, পিঠার ছাঁচ, ফুলদানি, হাঁড়ি-পাতিলসহ নানা গৃহস্থালী সামগ্রী বাজারজাত করতে উদ্যেগ নিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী।
প্রস্তুতির শেষ ধাপে রঙের কাজ করছেন মৃৎশিল্পীদের পরিবারের নারী সদস্যরা। শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা উপেক্ষা করেই তারা প্রতিটি পণ্যে দিচ্ছেন যত্নের ছোঁয়া। প্রস্তুত সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
তবে এই শিল্পে একাধিক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। প্রধান উপাদান এঁটেল মাটির অভাব, রঙের উচ্চমূল্য এবং শ্রম ও উপকরণের তুলনায় ন্যায্য মূল্য না পাওয়া—এই সবই কারিগরদের সামনে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
তবুও ঐতিহ্য রক্ষা ও বৈশাখী উৎসবের আনন্দে মানুষের আগ্রহই তাদের অনুপ্রাণিত করছে। বাংলার প্রাচীন এই মৃৎশিল্প আবারও রঙিন হয়ে উঠুক নববর্ষের আবহে—এই প্রত্যাশা করছেন তারা।