মেটার (পূর্বে ফেসবুক) সাবেক এক্সিকিউটিভ সারাহ উইন-উইলিয়ামস মার্ক জাকারবার্গের বিরুদ্ধে চীনের সাথে আপস করে আমেরিকানদের ডেটা নিরাপত্তা বিসর্জন দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি হুইসেলব্লোয়ার হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসের একটি শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়ে দাবি করেছেন, মেটা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সহযোগিতা করে ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করছে।
সারাহ উইন-উইলিয়ামসের মতে, মেটার নির্বাহীরা চীনা সরকারের জন্য কাস্টম সেন্সরশিপ টুল তৈরি করেছে, যা কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে চীনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, জাকারবার্গ আমেরিকান পতাকা ও দেশপ্রেমের মুখোশ পরে চীনে গোপনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন—গত এক দশকে সেখানে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেছেন, অথচ প্রকাশ্যে দাবি করেন যে মেটা চীনে কোনো সেবা দেয় না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মেটার এআই মডেল “লামা” চীনা কোম্পানি ডিপসিক-কে সহায়তা করেছে, যা মার্কিন প্রযুক্তি ও ডেটা সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের গোপনীয়তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
মেটা এই অভিযোগগুলোকে “বাস্তবতাবিবর্জিত ও মিথ্যা” বলে খণ্ডন করেছে। কোম্পানির মুখপাত্র রায়ান ড্যানিয়েলস বলেন, মেটা বর্তমানে চীনে কোনো সেবা চালু রাখেনি। তবে উইন-উইলিয়ামস জোর দিয়ে বলেন, মেটার এসব কাজ ইচ্ছাকৃত ও মার্কিন স্বার্থবিরোধী।
এই কেলেঙ্কারি প্রযুক্তি জায়ান্টদের নৈতিক দায়িত্ব, ডেটা গোপনীয়তা এবং চীনের সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।