যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা হিসেবে ৭৩ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে এই সহায়তা বাস্তবায়ন করা হবে, যা বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা নিশ্চিত করবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি ব্রুস এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দেন এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তা শেয়ার করে।
এই সহায়তা আসছে এমন এক সময়ে, যখন জাতিসংঘের দুটি সংস্থা সতর্ক করেছে যে তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য বরাদ্দ কমে যেতে পারে। এর ফলে শরণার্থী শিবিরগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা ও জ্বালানির ঘাটতি আরও তীব্র হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ২.৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়ে আসছে, যা তাদেরকে এই সংকটে সবচেয়ে বড় দাতাকে পরিণত করেছে।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে গত কয়েক বছরে মার্কিন বৈদেশিক সাহায্যে ব্যাপক কাটছাঁট হয়েছে। ইউএসএআইডির মতো সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি তহবিল স্থগিতের কারণে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর অন্তত পাঁচটি হাসপাতাল তাদের সেবা কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে।
এই সহায়তা সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।