যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আরোপ করেছেন। তার প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। এমনকি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মার্কিন ভিসা নীতিও কঠিন করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে নিজেদের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, মার্কিন ভিসা কোনো সাধারণ অধিকার নয়, এটি একটি বিশেষ সুযোগ—যা কেবল তাদের জন্য যারা যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও মূল্যবোধকে সম্মান করে।
ফক্স নিউজের এক সম্পাদকীয়তে রুবিও ভিসা নীতির যোগ্যতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের অনড় দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেন। সাম্প্রতিক বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ এবং মার্কিন ক্যাম্পাসগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প বহু বিদেশি শিক্ষার্থীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন এবং অনেকের ভিসা বাতিল করেছেন। ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফেডারেল অর্থায়ন হ্রাসের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে প্রশাসন।
রুবিও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আসা কোনো অধিকার নয়। এটি তাদের জন্য সংরক্ষিত, যারা আমাদের আইন ও মূল্যবোধকে সম্মান করে এবং যারা দেশটিকে উন্নত করার চিন্তা করে—না যে ভেতর থেকে ধ্বংস করতে চায়।” তিনি আরও যোগ করেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি কখনোই এটি ভুলব না।”
শূন্য সহনশীলতার নীতি প্রসঙ্গে রুবিও বলেন, “আমার দায়িত্বকালে যখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যাবে যে কোনো ভিসাধারী নিরাপত্তার জন্য হুমকি কিংবা মার্কিন আইন লঙ্ঘন করেছে, তখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে আমি দ্বিধা করব না।”
রুবিও আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইন অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি—যিনি সন্ত্রাসবাদ প্রচার বা সমর্থন করেন, যেমন হামাসের মতো সংগঠনকে সমর্থন করা—তারা মার্কিন ভিসার জন্য যোগ্য নন।