গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের নির্মম গণহত্যা চলছে, কিন্তু বিশ্ব—বিশেষত মুসলিম দেশগুলো—নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে আসছে ইসরায়েল, আর প্রতিবাদ করলেই ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো হয় হত্যা, নির্যাতন ও অবরোধ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর之后 নেতানিয়াহুর সরকার এই নিপীড়নের মাত্রা ছাড়িয়েছে, গাজায় প্রকাশ্যে গণহত্যা চালাচ্ছে। অথচ এই নৃশংসতা দেখেও আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়।
গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইতিমধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি শিশু। গোটা গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তবুও হামলা থামছে না। হাদিসে বলা হয়েছে, মুসলমানরা একটি দেহের মতো; অথচ ফিলিস্তিনিদের বেদনায় আজ গোটা উম্মাহ অসুস্থ—কিন্তু কার্যত কোনো সাহায্য আসছে না। গাজাবাসীর আকুতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ালেও মুসলিম নেতৃত্বের কাছ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
ইসরায়েলের এই গণহত্যার পেছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। নেতানিয়াহু গাজা দখলের জন্য আগে থেকেই নীলনকশা প্রস্তুত করেছিলেন, আর এখন তাকে সমর্থন দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সেখানে একটি “সৈকত শহর” গড়ে তোলা হবে। এজন্য ইসরায়েলকে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাতে দেওয়া হচ্ছে, আর বিশ্ব মেনে নিচ্ছে এই নিষ্ঠুরতাকে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কয়েক দফায় আলোচিত হলেও তা টেকসই হয়নি। ইসরায়েল বারবার চুক্তি ভেঙে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। গাজাবাসী যখন ধ্বংসস্তূপ থেকে বাড়ি ফিরেছেন, তখনই আবার বোমা পড়েছে তাদের ওপর। এখন তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই—শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকি রেড ক্রিসেন্টের মেডিকেল কর্মীদেরও টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে, যা ইসরায়েলের নৃশংসতাকে আরও উন্মোচিত করেছে।
বিশ্বে ২০০ কোটি মুসলিম থাকলেও গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর মতো সাহসী ভূমিকা কারও নেই। সৌদি আরব ও অন্যান্য ধনী আরব রাষ্ট্রগুলো পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় ব্যস্ত, অথচ গাজায় রক্ত ঝরছে। তারা নতুন অস্ত্র কিনে প্রতিপক্ষকে запугать করতে চান, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। গাজাবাসী এখন একমাত্র আল্লাহর সাহায্য চাইছে, কারণ মানুষের থেকে তারা কোনো ন্যায় পায়নি।