নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশি পোশাকের উপর উচ্চ শুল্ক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এ পদক্ষেপকে “ভুল” আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি আমেরিকান ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করবে, অথচ জাতীয় নিরাপত্তায় কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে না। ক্রুগম্যানের মতে, সরবরাহ শৃঙ্খল নিরাপদ করতে ফ্রেন্ডশোরিং বা নিয়ারশোরিং কার্যকর হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর উপর শুল্ক আরোপ কোনো সমাধান নয়।
ক্রুগম্যান ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতিকে স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন বলে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দের ব্যক্তিদের কথাই শুনছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বব লাইটহাইজারের কথা টেনে বলেন, লাইটহাইজারের মতো জ্ঞানী ব্যক্তিকে উপেক্ষা করা হয়েছে সম্ভবত তার স্বাধীন মতামত ও ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ আনুগত্য না থাকার কারণে। ক্রুগম্যানের ধারণা, লাইটহাইজার থাকলে তিনি বাংলাদেশের উপর শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করতেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ১০০টি নতুন আমেরিকান পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২৯০-এ পৌঁছাবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ১৯০টি পণ্যে একতরফা শুল্ক শূন্য করে দিয়েছিল। বিশ্লেষকরা এটিকে কূটনৈতিক সমঝোতার পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতিতে বাংলাদেশি পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫% থেকে বেড়ে ৩৭% হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বাড়বে এবং রপ্তানি বাজার সংকুচিত হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা সক্রিয়, তবে বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।”