ফিফার সর্বশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল দুই ধাপ উন্নতি লাভ করে ১৮৩তম অবস্থানে পৌঁছেছে। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে অর্জিত গোলশূন্য ড্র এই উন্নতির মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দলটির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯০৪.১৬, যা আগের মাসের তুলনায় ৫.৩৫ পয়েন্ট বেশি।
এটি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং অর্জন। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ এক লাফে ১৮৯ থেকে ১৮৩তম অবস্থানে উঠে আসলেও পরবর্তীতে কিছুটা পিছিয়েছিল। বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ঠিক উপরে অবস্থান করছে ভুটান (১৮২তম, ৯০৬.৮ পয়েন্ট), যেখানে প্রতিপক্ষ ভারত এক ধাপ পিছিয়ে ১২৭তম স্থানে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে দলটি তাদের সর্বোচ্চ ১১০তম র্যাঙ্কিং অর্জন করেছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক ভালো পারফর্মেন্সের অভাবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নেমে যায় ১৯৭তম অবস্থানে, যা ছিল তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং।
জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবেরা এই উন্নতিকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করে বলেন, “এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমরা যে সংগ্রামী মনোভাব দেখিয়েছি, তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।” তিনি আরও যোগ করেন, “১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আমাদের পরবর্তী ম্যাচে আমরা আরও ভালো ফলাফলের লক্ষ্যে কাজ করছি।”
সিঙ্গাপুর বর্তমানে ১৬১তম অবস্থানে রয়েছে, যারা সাম্প্রতিক র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ অবনমন ঘটেছে। ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে পারলে বাংলাদেশ আরও কয়েক ধাপ উন্নতি করতে সক্ষম হবে।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে এখনও অটুট রয়েছে আর্জেন্টিনা, যারা সম্প্রতি ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে তাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে। শীর্ষ পাঁচে অন্যান্য দলগুলো হলো যথাক্রমে স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও ব্রাজিল।
বাংলাদেশ ফুটবল ফ্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান বলেন, “এই উন্নতি আমাদের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ফুটবল আরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে স্থানীয় লিগের মানোন্নয়ন এবং যুব পর্যায়ে বিনিয়োগ এই অগ্রগতিকে টেকসই করতে সহায়তা করবে।