তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাম্প্রতিক ইসরায়েল-বিরোধী বক্তব্য নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ৩০ মার্চ ঈদের নামাজের পর তিনি প্রকাশ্যে ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করেন, যা ইসরায়েলি মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। দ্য জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরদোয়ানের এই মন্তব্য তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্কে নতুন করে সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইতিহাসে উসমানীয় খিলাফতের পতনের পর তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক প্রভাব হারালেও এরদোয়ানের নেতৃত্বে দেশটি অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে পুনরুত্থান ঘটেছে। তার নীতি অনেক সময়ই পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। সম্প্রতি সিরিয়ায় তুরস্কের সম্পৃক্ততা এবং গোলান মালভূমি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ক্ষমতায় আসার পেছনে তুরস্কের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন তুরস্ক সিরিয়ার টি-৪ বিমানঘাঁটিতে (তিয়াস) অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা ইসরায়েলি বিমান হামলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। দুই দেশের মধ্যে গোপন সামরিক চুক্তিও আলোচনাধীন রয়েছে, যা ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
এরদোয়ানের বক্তব্যকে ইসরায়েলি বিশ্লেষকরা “স্পষ্ট হুমকি” হিসেবে দেখছেন। তুরস্ক যদি সিরিয়ায় স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে, তাহলে ইসরায়েলের জন্য গোলান হাইটস ও সীমান্ত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। ইতিমধ্যে তেল আবিব তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের চেষ্টা করলেও, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।