২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র নয় মাস বাকি। কিন্তু আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রেই দেখা দিয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন— যে শহরগুলোকে তিনি “বামপন্থি উগ্রপন্থিদের নিয়ন্ত্রিত” ও অসুরক্ষিত মনে করেন, সেখানে কোনোভাবেই বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করতে দেবেন না। প্রয়োজনে ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হবে অন্য শহরে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “যে শহরগুলো বামপন্থি উগ্র নেতৃত্বে চলছে, যারা জানেই না কীভাবে শাসন করতে হয়। বিশ্বকাপ অবশ্যই নিরাপদ হবে। কিন্তু যদি আমি মনে করি কোনো শহর নিরাপদ নয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাব।”
তিনি বিশেষভাবে সিয়াটল (লুমেন ফিল্ডে নির্ধারিত ছয়টি ম্যাচ) এবং সানফ্রান্সিসকো (লিভাইস স্টেডিয়ামে ছয়টি ম্যাচ) নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি শিকাগোর নামও উল্লেখ করেন, যেখানে অপরাধপ্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি মনে করি কোনো শহর সামান্যতমও নিরাপদ নয়, তবে শুধু বিশ্বকাপ নয়, এমনকি ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকও স্থগিত করতে হতে পারে।” তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। বহু বছরের প্রস্তুতির পর ভেন্যুগুলো ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হলেও প্রেসিডেন্টের এই হুমকি ফুটবলের মহাযজ্ঞের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার ছায়া ফেলেছে। নিরাপত্তা ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রভাব পড়া নতুন কিছু নয়, তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে আয়োজক কমিটি, ফিফা এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য বড় ধাক্কা।
ফিফা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এত বড় একটি টুর্নামেন্টে হঠাৎ ভেন্যু পরিবর্তন বা স্থগিতের হুমকি বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে কূটনৈতিক ও লজিস্টিক— দুই দিকেই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে।