ঈদ উপলক্ষে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে সমর্থকদের উপহার দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। শুরুটাও হয়েছিল আশাজাগানিয়া। তবে একের পর এক গোল মিস এবং রক্ষণভাগের ভুলে শেষ পর্যন্ত হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিয়েও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি লাল-সবুজরা।
প্রথমার্ধে একটি গোল হজম করে ড্রেসিংরুমে ফেরে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতেই কোচ হ্যাভিয়ের রদবদল আনেন। কাজেম শাহকে তুলে নামানো হয় শাহরিয়ার ইমনকে। মাঠে নামার ঠিক তিন মিনিটের মাথায় দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ইমন। বাঁ দিক থেকে রাকিবের পাসে শুধু পা ছোঁয়ালেই গোল নিশ্চিত ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি।
৫৮ মিনিটে আবারও গোল হজম করে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের এক সম্মিলিত আক্রমণে প্রথমে তপু বর্মন বাধা দিলেও, মিতুল মারমার ফিরিয়ে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নেন ইখসান ফান্দি। তাকে ঠেকাতে ব্যর্থ হন হৃদয়, আর নিচু শটে বল জালে পাঠান ফান্দি।
তবে হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। ৬৩ মিনিটে আবারও সুযোগ পান ইমন, কিন্তু সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক ইজওয়ান মাহবুদের পারফরম্যান্সে আবারও হতাশ হতে হয়। অবশেষে ৬৭ মিনিটে গোলের দেখা পায় স্বাগতিক দল। মাঝমাঠ থেকে নিখুঁত থ্রু পাস দেন হামজা, এবং রাকিব হোসেন গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগে বল জালে জড়িয়ে সান্ত্বনার একমাত্র গোলটি করেন।
গোলের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। পরিবর্তন হিসেবে মাঠে নামেন মোরসালিন ও ফয়সাল ফাহিম। একের পর এক কর্নার, ফ্রিকিক ও আক্রমণ চললেও সিঙ্গাপুর রক্ষণভাগ এবং গোলরক্ষক হয়ে ওঠেন অদৃশ্য দেয়াল। ইনজুরি সময়ে রাকিবের ফ্রিকিক থেকে গোলের সম্ভাবনা তৈরি হলেও, হামজার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর তারিক কাজীর হেডও দারুণ সেভ করেন মাহবুদ।
প্রায় বিশ হাজার দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম যেন ম্যাচের শেষ বাঁশিতে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। একবিন্দু আশার জয় না পেয়ে হতাশায় মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী জনতা ও খেলোয়াড়রা।