ভারতের পহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এই ঘটনার জবাবে পাকিস্তান ঘোষণা দিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাবে। এ লক্ষ্যে করাচির উপকূলসংলগ্ন এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা চালানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের নৌবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোও সতর্ক রয়েছে এবং বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও নিজেদের সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী ‘আইএনএস সুরাত’ থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি নিম্ন-উড্ডয়ন মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সফল পরীক্ষা প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ভাষার যুদ্ধও চলছে। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে ‘শিশুসুলভ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমরা ভারতকে যোগ্য জবাব দেব এবং এই জবাব কোনোভাবেই দুর্বল হবে না।’
এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যে হিমশীতল হয়ে পড়েছে। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে ভারত ও পাকিস্তান। বন্ধ হয়ে গেছে আকাশসীমাও। এখন এই উত্তেজনা সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে সমুদ্র ও আকাশপথে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি এভাবে পরিস্থিতি এগোয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।