কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয়। একদিন অপেক্ষার পর পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়। দুই দেশের ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতির মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠা পরিস্থিতির কারণে কাশ্মীর ইস্যু এখন বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনের প্রধান আলোচ্য বিষয়।
উভয় দেশই আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করতে তৎপর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তাদের অবস্থানকে জোরদার করতে পারে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ রয়েছে। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নিচ্ছে না।
ব্রুস আরও বলেন, ওয়াশিংটন এই অঞ্চলের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে। পহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এই হামলার জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বের মধ্যস্থতার প্রস্তাব এখনও কার্যকর আছে কিনা জানতে চাইলে মুখপাত্র সরাসরি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, এবং এ বিষয়ে আপাতত তাঁর কিছু বলার নেই।