২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণ সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এলডিসি উত্তরণ সংক্রান্ত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “উত্তরণের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এখন সময় এসেছে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার। প্রতিটি খাতে সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে কোনো খাত ক্ষতির মুখে না পড়ে।”
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, এলডিসি উত্তরণের সুযোগগুলো যেন সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ অব্যাহত থাকবে। সেই লক্ষ্যে একটি বিশেষ মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি, যারা সার্বক্ষণিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন, “পোশাক ও রফতানি খাতে যাতে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। শ্রমখাতে সংস্কারের মাধ্যমে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে কাজ চলছে।”
জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হবে।
এলডিসি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হলেও এর সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে পরিকল্পিত প্রস্তুতি, নীতি সমন্বয় এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতার ওপর।