ইরানের পাল্টা হামলায় কাবু ইসরায়েল। সম্প্রতি ইরানের ধারাবাহিক আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে দেশটি গুরুতর প্রতিরক্ষা সংকটে পড়েছে। বিশেষত, ইসরায়েলের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান অস্ত্র অ্যারো ইন্টারসেপ্টরের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
বুধবার (১৭ জুন) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের দূরপাল্লার মিসাইলের হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েল যেসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে, তার অন্যতম হলো এই অ্যারো ইন্টারসেপ্টর। বর্তমানে সেটির ঘাটতি দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাটতি সম্পর্কে আগেই জানত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা জোরদারে ইতোমধ্যে সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথে অতিরিক্ত সহযোগিতা প্রদান করেছে। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, অস্ত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য তারা প্রকাশ করবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া পোস্টে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও পুলিশি কার্যক্রমে আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এতে হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্য হতাহত হয়েছে, অন্যদিকে লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এটি ছিল আমেরিকার সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত।” তার বক্তব্যের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অভিযোগ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এ সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলছে।
বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, আর এর মধ্যে প্রতিরক্ষা ঘাটতির মতো সংকট ইসরায়েলের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।