কাশ্মীরের পেহেলগামে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং এর জেরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অন্তত নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ২৬ জন নিহত হয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় হামলা চালিয়ে ১০ ভারতীয়কে হত্যার এবং পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করে। এই ঘটনাগুলোর ফলে উপমহাদেশের পরিস্থিতি হঠাৎ করে তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানে চলছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের দুই উদীয়মান ক্রিকেটার—নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলছেন নাহিদ, আর লাহোর কালান্দার্সের হয়ে মাঠে নামছেন রিশাদ। উভয় দলের গ্রুপ পর্বে এখনও কয়েকটি ম্যাচ বাকি রয়েছে, এবং দল প্লে-অফে উঠলে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাদের পাকিস্তানে থাকতে হতে পারে।
এই যুদ্ধাবস্থা ও নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, নাহিদ ও রিশাদের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে পিএসএল কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে—এই দুই ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যদি নিরাপত্তা হুমকি আরও বেড়ে যায়, তাহলে ক্রিকেটারদের দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও এখনও বিসিবি সরাসরি নাহিদ ও রিশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, তবুও পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি রয়েছে।
বর্তমানে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও, পাকিস্তান-ভারতের চলমান রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা পরিস্থিতিকে কোনদিকে নিয়ে যায়, তার ওপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ।