ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ে অভিনব কৌশল নিয়েছেন ইনতাজ আলী বেপারি নামের এক কাঠুরে। বারবার তাগাদা দিয়েও টাকা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি দেনাদারদের নাম ও বকেয়া টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে একটি ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করেন এবং সেটি এলাকায় বিভিন্ন স্থানে টাঙিয়ে দেন।
উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গির চর গ্রামের মৃত জুম্মন খানের ছেলে ইনতাজ আলী দীর্ঘদিন কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বয়সের ভারে আগের মতো কাজ করতে না পারলেও গত পাঁচ বছরে স্থানীয় ছয়জনের কাছে তার প্রায় ২৫ হাজার টাকা পাওনা হয়ে আছে। বহুবার দাবি জানানোর পরও টাকা ফেরত না পাওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু সেখান থেকেও কোনো সমাধান না মেলায় শেষ উপায় হিসেবে ব্যানার টাঙানোর পথ বেছে নেন।
৪ বাই ৫ ইঞ্চির ব্যানারে দেনাদারদের নাম, টাকার পরিমাণ এবং সতর্কবার্তা উল্লেখ করে লেখা হয়— “থানা থেকে অর্ডার, এ বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানানোর জন্য। যদি এ টাকা না দেন, তাহলে থানায় মামলা হবে।”
ব্যানারের ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ ইনতাজ আলীর এই উদ্যোগকে ‘সাহসী পদক্ষেপ’ বলে প্রশংসা করছেন, আবার অনেকে একে ‘ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস’ ও ‘মানহানির প্রচেষ্টা’ বলে সমালোচনা করছেন। এতে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ইনতাজ আলী বলেন, “এতবার বলছি, তবুও টাকা দিল না। তাই মাইনসেরে জানাইতে আর একটু লজ্জা দিবার জন্য এ কাজ করছি। যদি তাও টাকা না দেয়, তবে মাইকে ঘোষণা দিয়ে পাড়া-মহল্লায় জানাব।”
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, থানার পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রচারণার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইনতাজ আলী যদি লিখিত অভিযোগ করেন, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।