চিয়া সিড—ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর এক সুপারফুড। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-১, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ত্বক হয় উজ্জ্বল, চুল থাকে ঘন ও সুস্থ এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এ কারণে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এখন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিয়া সিড যোগ করছেন। তবে অনেকের প্রশ্ন— নতুন চুল গজানোর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কখন?
চুলের যত্নে চিয়া সিড বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুল ভেঙে পড়া রোধ করে ও গোড়া মজবুত করে। প্রোটিন কেরাটিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা চুলের প্রধান উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চুলকে রক্ষা করে, আর জিংক ও কপার মাথার ত্বক সুস্থ রাখে এবং প্রাকৃতিক রং ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সকালে চিয়া সিড খাওয়ার আলাদা সুবিধা আছে। এটি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং দ্রুত পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রাতঃরাশে স্মুদি, দই, ওটস বা লেবু দিয়ে তৈরি চিয়া ওয়াটারের সঙ্গে খেলে বাড়তি শক্তি পাওয়া যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা হঠাৎ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
রাতেও চিয়া সিড খাওয়া উপকারী। কারণ রাত হলো শরীরের মেরামতের সময়। এই সময়ে খেলে চুলের ফলিকল বেশি পুষ্টি পায়। পাশাপাশি এটি হজমে আরাম দেয় এবং ধীরে ধীরে শোষিত হয়ে মাথার ত্বক আর্দ্র রাখে। রাতে দারুচিনি মেশানো গরম দুধ, দইয়ের সঙ্গে ভেজানো চিয়া বা হারবাল চায়ের সঙ্গে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল ও রাত— দুই সময়েই চিয়া সিড খাওয়ার আলাদা উপকারিতা রয়েছে। সকালে খেলে সারাদিনের জন্য সুরক্ষা মেলে, আর রাতে এটি চুলের পুনর্গঠনে সহায়তা করে। তাই নতুন চুল গজানো এবং চুলকে ঘন ও সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকাল ও রাতে চিয়া সিড খাওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়। পাশাপাশি ত্বকের জন্যও এটি সমান কার্যকর। নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে চুল ও ত্বক ভেতর থেকে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।