পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) শুরুটা চমকজাগানিয়া হলেও ধারাবাহিকভাবে দল থেকে ছিটকে পড়ছেন বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে লাহোর কালান্দার্সের সর্বশেষ ম্যাচেও তিনি একাদশের বাইরে ছিলেন। এটি টানা তৃতীয় ম্যাচ, যেখানে রিশাদ মাঠে নামার সুযোগ পাননি। প্রশ্ন উঠছে—যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছেন কি এই প্রতিভাবান বোলার?
২৬ এপ্রিল মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে বাদ পড়েন রিশাদ। অথচ এর আগেই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে টানা তিনটি করে উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশি ভক্তদের আশা ছিল, এই পারফরম্যান্স তাকে লাহোরের নিয়মিত একাদশে প্রতিষ্ঠিত করবে।
কিন্তু পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে মাঝারি পারফরম্যান্স—দুই ওভারে ১৮ রান হজম ও ব্যাট হাতে ১৩ রান—এরপর থেকেই যেন আস্থা হারায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার জায়গায় একাদশে জায়গা পেয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার টম কারান, যিনি রিশাদের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিবেচিত।
লাহোরের একাদশে এখনো জায়গা ধরে রেখেছেন ফখর জামান, মোহাম্মদ নাঈম, শফিক, বিলিংস, রাজা, হারিস রউফ, ও শাহীন আফ্রিদির মতো খেলোয়াড়রা। এমন শক্তিশালী লাইনআপে ‘উইনিং কম্বিনেশন’ বজায় রাখার চাপেই হয়তো উপেক্ষিত রিশাদ। লাহোর রিশাদকে ছাড়া টানা দুটি ম্যাচ জিতেছে, তাই দল বদলানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না ম্যানেজমেন্ট।
তবে পিএসএলে এখনো রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচ। রিশাদের মতো তরুণ খেলোয়াড়দের আরও কিছু সুযোগ দেওয়া না হলে, ভবিষ্যতে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বাংলাদেশি প্রতিভাদের নিয়ে আগ্রহ কমে যেতে পারে।
অভিজ্ঞতার ঘাটতি সত্ত্বেও রিশাদ তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। তবু টানা তিন ম্যাচে তাকে মাঠের বাইরে রাখা এই তরুণের মনোবলেই নয়, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। পিএসএলে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেটারদের জন্য যে সহজ হবে না, সেটাই হয়তো রিশাদের এই অবস্থা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে।