জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের আগে-এর গঠনতন্ত্র সংস্কারের জন্য সংস্কার কমিটি গঠনসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ নিয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে পৌনে ৫টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সেখানে উপস্থিত হলে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- গত ২৯ অক্টোবর জাকসু নির্বাচন বিষয়ে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় জাকসুর জরুরি সংস্কারের দাবি প্রেক্ষিতে গঠিত কমিটির সুপারিশ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবি অনুযায়ী নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে, বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সিন্ডিকেট পুনর্গঠন করতে হবে, জাকসু নির্বাচনের আগে গঠনতন্ত্র সংস্কার করার জন্য ‘গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটি’ গঠন করত এবং নির্বাচনের পূর্বে বিগত ১৭ বছর যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছিল, শুধু সেই সকল ছাত্রসংগঠনের সাথে আলোচনাক্রমে জাকসুর গঠনতন্ত্র পর্যালোচনাপূর্বক যুগোপযোগী করতে হবে, নির্বাচনকে ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের মদদদাতা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৫-১৭ জুলাই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর আওয়ামী প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রলীগ, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যে নৃশংস হামলা করেছিল, জাকসু নির্বাচনের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একটি আলাদা সেল গঠন করে সে সকল নৃশংস কর্মকাণ্ডের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রশাসনিক ও ফৌজদারি আইনের অধীনে বিচার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ সম্পন্ন করতে হবে এবং বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা একমাত্র ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে যারা হামলা করেছে এবং যে সকল শিক্ষক হামলাকারী সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থাসহ ফৌজদারি আলাদতে ও ট্রাইব্যুনালে মামলা করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপির মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো উপাচার্য বরাবর পেশ করেছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচনের আয়োজন করবেন।’
স্মারকলিপি গ্রহণের পর উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘স্মারকলিপিটি পেয়েছি।