ডিজিটাল যুগে ধীরগতির ইন্টারনেট বা দুর্বল ওয়াই-ফাই সংকেত সত্যিই বিরক্তিকর। ভিডিও কল মাঝপথে কেটে যাওয়া, অনলাইন মিটিং ব্যাহত হওয়া কিংবা কাজের ফাইল আপলোডে দেরি—এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব কিছু কার্যকর উপায়ে। সঠিক কৌশল ও আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে আপনার হোম নেটওয়ার্ককে করা যায় দ্রুত, স্থায়ী এবং স্থিতিশীল।
প্রথমেই যাচাই করুন ওয়াইফাইয়ের সমস্যা আসলেই ইন্টারনেট সংযোগজনিত কি না। এজন্য ল্যাপটপ সরাসরি ইথারনেট ক্যাবল দিয়ে রাউটারে যুক্ত করে স্পিড টেস্ট করুন। যদি গতি কম থাকে, তবে আপনার ইন্টারনেট প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পাশাপাশি রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করা জরুরি, কারণ নির্মাতারা নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও গতি বাড়ায়।
রাউটার রাখার জায়গাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি যদি ঘরের কেন্দ্রীয় ও উচ্চ স্থানে রাখা হয় এবং দেওয়াল থেকে দূরে রাখা যায়, তাহলে সংকেত অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। ডুয়াল-ব্যান্ড রাউটার থাকলে 5GHz ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন দ্রুত গতির জন্য, আর 2.4GHz ব্যবহার করতে পারেন বেশি দূরত্বের কভারেজের জন্য। এছাড়া কম ভিড়যুক্ত চ্যানেল বেছে নিলে ওয়াইফাই আরও স্থিতিশীল হয়।
অপরিচিতদের অবৈধভাবে নেটওয়ার্ক ব্যবহার আটকাতে অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও WPA2/3 সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। আবার ভিডিও কল বা অনলাইন মিটিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যান্ডউইথ অগ্রাধিকার দিতে “কোয়ালিটি অব সার্ভিস” (QoS) ফিচার ব্যবহার করতে পারেন।
সংকেত আরও উন্নত করতে হাই-গেইন অ্যান্টেনা ব্যবহার বা অ্যান্টেনার দিক পরিবর্তন করা যেতে পারে। পুরনো রাউটার যদি সীমিত গতি দেয়, তবে ওয়াই-ফাই ৬ বা ওয়াই-ফাই ৬ই সমর্থিত রাউটার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বড় বাসায় বা একাধিক ঘরে শক্তিশালী সংযোগ নিশ্চিত করতে রেঞ্জ এক্সটেন্ডার বা মেশ নেটওয়ার্কই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।
সব মিলিয়ে, সঠিক রাউটার সেটিংস, আধুনিক হার্ডওয়্যার এবং কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করলে আপনার ওয়াইফাই হবে আরও দ্রুত, নিরবচ্ছিন্ন এবং ঝামেলামুক্ত।