বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ, গায়ক-গীতিকার ও গিটারবাদক আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন ব্যান্ড সঙ্গীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। প্রেম-বিরহের অসংখ্য কালজয়ী গান দিয়ে তিনি বাংলা সঙ্গীত ভুবনকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। গত শনিবার (১৬ আগস্ট) ছিল এই গুণী শিল্পীর ৬৩তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত প্রায় ২২০টি গান নিয়ে কাজ চলছে এবং সেগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন।
রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আইয়ুব বাচ্চু সেলিব্রেটিং লাইফ, লিগ্যাসি অ্যান্ড চলো বদলে যাই’ শীর্ষক স্মরণসভা। সন্ধ্যার আগে থেকেই সহকর্মীরা জড়ো হন সেখানে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রদর্শিত হয় আইয়ুব বাচ্চুর জীবন ও সঙ্গীতভ্রমণ নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান, পিলু খান, হামিন আহমেদ, শেখ মনিরুল আলম টিপু, ফোয়াদ নাসের বাবু, লাবু রহমান, রফিকুল আলম, লতিফুল ইসলাম শিবলিসহ অনেকেই।
সোলস ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণার সমাপনী বক্তব্য দেন আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী এবং এবি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। তিনি জানান, বাচ্চু জীবদ্দশায় অসংখ্য গান তৈরি করে গেছেন। এখনো তার কণ্ঠে গাওয়া প্রায় ২২০টি গান প্রকাশিত হয়নি। এসব গান ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি বাচ্চুর সুর করা গান অন্য শিল্পীদের কণ্ঠেও গাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অর্থাৎ, আইয়ুব বাচ্চুর রেখে যাওয়া সুরের ভাণ্ডার আগামী দিনে নতুন করে শ্রোতাদের সামনে আসবে, যা তার সঙ্গীত ভুবনে অবদানকে আরও সমুজ্জ্বল করে তুলবে।