বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চ ক্লাব বিশ্বকাপে লড়তে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ফুটবল ক্লাব অকল্যান্ড সিটি এফসি। তবে এদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই পেশাদার ফুটবলার নন। কেউ কোমল পানীয় বিক্রয় করেন, কেউ রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, আবার কেউ পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন ভিন্ন পেশার মানুষদের নিয়েই গঠিত এই ব্যতিক্রমী দল, যারা এবার মেসি, হ্যারি কেইন কিংবা হালান্ডদের মতো তারকাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
অকল্যান্ড সিটির খেলোয়াড়রা পেশাগত জীবনের ফাঁকে ফাঁকে ফুটবল অনুশীলন করেন। ক্লাবটির অধিনায়ক মারিও ইলিচ কোকাকোলা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ভোরে উঠে জিম করেন, তারপর কাজে যান এবং অফিস শেষে করেন নিয়মিত অনুশীলন। সহ অধিনায়ক অ্যাডাম মিচেল রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় জড়িত। গোলরক্ষক কনর ট্রেসি কাজ করেন পশু চিকিৎসার ওষুধের গুদামে, যেখানে শারীরিক পরিশ্রমের কারণে চোট পাওয়ার ঝুঁকি সবসময় থেকেই যায়।
অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে ফুটবল ছাড়াও বিকল্প পেশায় যুক্ত হয়েছেন তারা। তবুও ফুটবলের প্রতি তাদের ভালোবাসা অটুট। এই ভালোবাসা ও একতাই তাদের শক্তি, যা দিয়ে তারা লড়াই করতে চান ইউরোপের নামী ক্লাব যেমন বায়ার্ন মিউনিখ ও বেনফিকার মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে।
১৩ বার ওএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা অকল্যান্ড সিটি এফসি ওশেনিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে সফল ক্লাব। বহুবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও, এবারের আসর তাদের সামনে একটি বড় সুযোগ হয়ে এসেছে নিজেদের প্রমাণ করার। অধিনায়ক ইলিচ মনে করেন, একতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি।
এই অসাধারণ দলটি প্রমাণ করেছে, শুধুমাত্র তারকা খ্যাতি নয়—স্বপ্ন, পরিশ্রম এবং দলীয় সংহতিই পারে এক অপেশাদার দলকে নিয়ে যেতে বিশ্বমঞ্চে।