জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে মঙ্গলবার শুরু হয় সাধারণ বিতর্ক। প্রথম দিনের দুটি অধিবেশনে ৩০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা বক্তব্য রাখেন। দিনজুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছে যুদ্ধ, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির নানা প্রসঙ্গ।
ঐতিহ্য অনুযায়ী অধিবেশন শুরু হয় ব্রাজিলের ভাষণ দিয়ে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তার বক্তব্যে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন হামলার নিন্দা জানান। এরপর বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় ৫৫ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে তিনি জাতীয়তাবাদকে উৎসাহিত করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও জাতিসংঘের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে ইসরায়েলকে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করেন। জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তার ভাষণের বড় অংশজুড়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা তুলে ধরেন এবং বলেন, ইসরায়েলের অন্যায় কয়েক দশক ধরে অব্যাহত আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের দাবি জানান। তার মতে, বর্তমান কাঠামো বিশ্ববাসীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করে না।
দিনের একটি মজার ঘটনায় আলোচনায় আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলন্ত সিঁড়িতে উঠতেই সেটি হঠাৎ থেমে যায়। পরে নিজের বক্তব্যে তিনি এ ঘটনাকে হাস্যরসের মাধ্যমে উল্লেখ করেন।
এদিন উদ্বোধনী ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বিশ্বকে হাল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শান্তি, মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও মানবতার জন্য জাতিসংঘ কখনোই হাল ছাড়বে না।