আজ আবার ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলতে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যেখানে জামাল ভূঁইয়ারা মুখোমুখি হবেন সিঙ্গাপুরের। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ড্র করার ফলে গ্রুপের চার দলেরই পয়েন্ট এখন সমান – বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর এবং হংকং প্রত্যেকেরই ১ পয়েন্ট করে। ফলে আজকের ম্যাচ কার্যত রূপ নিচ্ছে ‘গ্রুপ ফাইনাল’-এ। এই ম্যাচে জয় মানে হবে শীর্ষে যাওয়ার বড় সুযোগ এবং মূলপর্বের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা সাধারণত ৪-৩-১-২ ফর্মেশনেই দল সাজিয়ে আসছেন, যার মূল লক্ষ্য থাকে রক্ষণভাগকে মজবুত রাখা। তবে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে—বিশেষ করে ভুটান ও ভারতের বিপক্ষে—তিনি কৌশল বদলে ৪-২-৩-১ ফর্মেশন ব্যবহার করেছেন, যেটি ভালো ফলও দিয়েছে।
এই ফর্মেশন অনুযায়ী, আজ মূল স্ট্রাইকার হিসেবে রাকিব হোসেনকে দেখা যেতে পারে। তার দুই পাশে উইংয়ে খেলতে পারেন ফাহমিদুল ইসলাম ও শাহ কাজেম বা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে থাকতে পারেন হামজা চৌধুরী ও সামিত সোম। মাঝমাঠে অ্যাটাকিং রোল সামলাতে পারেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বা সোহেল রানা। কোচের দৃষ্টিতে নতুন সংযোজন সামিত সোম বড় দ্বিধার সৃষ্টি করেছেন—তাকে খেলাতে হলে বাদ পড়বেন কে?
গোলপোস্টের নিচে মিতুল মারমার অবস্থান প্রায় নিশ্চিত। রক্ষণভাগে সেন্টার ব্যাকে দেখা যাবে অভিজ্ঞ তপু বর্মণ ও তরুণ তারিক কাজীকে। রাইট ও লেফট ব্যাকে দেখা যেতে পারে সাদ উদ্দিন এবং ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলা শাকিল আহাদকে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠতে পারেন ইংল্যান্ডের লেস্টার একাডেমিতে বেড়ে ওঠা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। তার বল কন্ট্রোল, পজিশনিং ও পাস কাট করার দক্ষতা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছে—একটি ড্র, অন্যটি হেরে যায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঢাকায় ২-১ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজরা। এবার সেই অতীত ভুলে নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ জামালদের সামনে।
আজকের জয় শুধু তিন পয়েন্টই নয়, গ্রুপে শীর্ষে যাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করবে। একই দিনে ভারতের প্রতিপক্ষ হংকং। দুটি ম্যাচের ফলাফল মিলিয়ে যে দল এগিয়ে থাকবে, তাদেরই তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সন্ধ্যার আগেই কোচ ক্যাবরেরা ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবেন। কারা একাদশে থাকছেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যাবে তখন। তবে সমর্থকদের চাওয়া একটাই—জয় হোক বাংলাদেশের।