নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বিবিরহাট এলাকার মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা নদীতে একটি নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে বড়খেরী নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত হাসিনা খাতুন একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। তার বাবার নাম আবুল হাসান, মায়ের নাম মোহাম্মদ মাহমুদা খাতুন এবং স্বামীর নাম মোহাম্মদ তারেক।
বড়খেরী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ঘটে যাওয়া ট্রলারডুবির ঘটনাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মরদেহের আনুষ্ঠানিক সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। মরদেহটি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগের দিন শনিবার (৩১ মে) হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তবে নিখোঁজ ছিল ৭ জন। নিহত হাসিনা খাতুন তাদেরই একজন।