বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান, সময়টা প্রায় আট মাস। রাজনৈতিক কারণে দেশে ফেরা হয়নি এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের। এর মধ্যে তার বোলিং অ্যাকশনও নিষিদ্ধ হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। যদিও নিজেকে পুরোপুরি খুঁজে পাননি, তবু তার দল লাহোর কালান্দার্স জিতে নিয়েছে শিরোপা।
তাহলে কি জাতীয় দলে আবার ফিরবেন সাকিব? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন—সাকিব অধ্যায় এখানেই শেষ নয়।
গত বছরের অক্টোবর থেকে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন সাকিব। সর্বশেষ ভারতের কানপুরে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। ফলে টেস্ট থেকে তার অবসর এখনও আনুষ্ঠানিক নয়, বলা যায় ঝুলে আছে। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেই। বাকি রয়েছে ওয়ানডে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে অবসরের পরিকল্পনা থাকলেও তা এখনো বাস্তব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, “ডেফিনিটলি নট (সম্পর্ক শেষ নয়)। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট ও সিলেকশন প্যানেলের বিবেচনায় সাকিব সবসময়ই থাকে। সে একটি বিশ্বমানের ক্রিকেটার। যে কোনো দলের জন্য সে একটি সম্পদ।”
সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার সময় নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে অপেক্ষা করতে বললেন মিঠু। “সাকিব শুধরে ফিরেছে, মাত্র দুই-তিনটি ম্যাচ খেলেছে। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দিন, তারপর এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।”
সাকিবের অনুপস্থিতিতে দল একধরনের শূন্যতায় ভুগছে। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তদের সাম্প্রতিক ফর্মও ভালো নয়। বিষয়টিকে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার জন্য সমস্যাজনক হিসেবে দেখছেন মিঠু। তার ভাষায়, “অ্যালার্মিং না হলেও জাতীয় দলের পারফরম্যান্স একটা বড় ইস্যু জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে।”
তবে তিনি ভিন্ন একটি দিকও তুলে ধরেছেন। “এই মুহূর্তে আমাদের দলটি নতুন। চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার—সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ—চলে যাওয়ার পর একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে প্রতিভা রয়েছে। সমস্যা হলো অ্যাপ্লিকেশনের অভাব। যত বেশি ম্যাচ খেলবে, তত উন্নতি করবে।”
দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মিঠু বলেন, “আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, এর চেয়ে খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই। সামনে কেবল উন্নতির দিকেই এগোবে দল।”