নিজের ক্যারিয়ারের প্রিয় গোলটি অবশেষে জানিয়ে দিলেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল ইতিহাসের এক স্মরণীয় রাত—২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, যেখানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেডে করা গোলেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। সেই গোলেই নিশ্চিত হয় মেসির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, জন্ম নেয় এক কিংবদন্তির।
পনেরো বছর পর, সেই ঐতিহাসিক গোলকেই নিজের সবচেয়ে প্রিয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন মেসি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, “অনেক সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছি, তবে সেই হেডে করা গোলটাই আমার সবচেয়ে প্রিয়।” এটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের অন্যতম বিরল হেডেড গোল, যার প্রভাব ছিল অপরিসীম।
বর্তমানে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন মেসি, তবে পুরোনো সেই মুহূর্ত এবার পাচ্ছে নতুন রূপ। ‘A Goal in Life’ নামের এক বিশেষ দাতব্য প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন মেসি ও প্রখ্যাত মিডিয়া আর্টিস্ট রেফিক আনাদল। মেসির সেই গোলটিকে রূপান্তর করা হবে এক ব্যতিক্রমধর্মী ডিজিটাল শিল্পকর্মে, যেখানে প্রযুক্তি ও আবেগ মিলিয়ে সৃষ্টি হবে এক নতুন বাস্তবতা।
মেসি বলেন, “রেফিকের কাজ আমি আগেই চিনতাম। আমরা মায়ামিতে সাক্ষাৎ করেছি এবং এই প্রকল্প নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। এটা দারুণ যে, একটা খেলার মুহূর্ত কীভাবে শিল্পের রূপ নিতে পারে।” এই শিল্পকর্মটি মেসি ও রেফিক দুজনেই স্বাক্ষর করবেন।
আগামী ১১ জুন, নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত ক্রিস্টিস নিলামঘরে উন্মোচন করা হবে এই সৃষ্টি। নিলামে বিক্রি হওয়া অর্থ ব্যয় হবে শিক্ষা খাতে সমতা এবং শিশুদের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে। রেফিক আনাদল বলেন, “এটি শুধু এক গোল নয়—এটি মানবিক আবেগ, স্মৃতি এবং গতির এক প্রতিচ্ছবি। আমরা বায়োসেন্সিং ও অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে এক নতুন শিল্পজগতের পথ দেখাচ্ছি।”
এই মহৎ উদ্যোগের প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে উয়েফার অনুমতিতে ইন্টার মায়ামি সিএফ ফাউন্ডেশন, যারা বিশ্বজুড়ে ‘A Goal in Life’ ক্যাম্পেইন চালাবে।
শেষ কথা: এক হেড, এক রাত, এক গল্প—যা শুধুই এক গোল নয়, বরং এক জীবনদর্শন। সেই অনুভূতির ছোঁয়াই এবার পৌঁছে যাবে সারা বিশ্বে, শিল্প ও সহমর্মিতার হাত ধরে।