টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় হতাশা থাকলেও ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে খুশির খবর পেয়েছে নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আইসিসির ১৪ মে প্রকাশিত নারী ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদে এক ধাপ এগিয়ে ৮ নম্বর স্থান থেকে ৭ নম্বরে উঠে এসেছে টাইগ্রেসরা।
মাত্র কয়েকদিন আগেই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থতায় এক ধাপ পিছিয়ে ১০ নম্বরে নেমেছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেই হতাশাজনক চিত্র পাল্টে গেছে।
আইসিসির এই হালনাগাদে ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়কে দুটি ভাগে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আগের বছরের পারফরম্যান্সকে ৫০ শতাংশ এবং সর্বশেষ বছরের পারফরম্যান্সকে বাকি ৫০ শতাংশ ওজন দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ মোট ১৭টি ওয়ানডে খেলেছে, যার মধ্যে জয় এসেছে ৩টিতে, হেরেছে ৯টিতে, ৩টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং ২টি ম্যাচ টাই হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে একটি টাই ম্যাচে সুপার ওভারে জয়ের মুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ।
বিশেষ করে গত এক বছরে বাংলাদেশ নারী দলের পারফরম্যান্স ছিল উল্লেখযোগ্য। ১১টি ম্যাচের মধ্যে জয় এসেছে ৭টিতে এবং হেরেছে মাত্র ৪টি। এই ধারাবাহিক উন্নত পারফরম্যান্সই মূলত টাইগ্রেসদের র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ এগিয়ে এনেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৭৯, যেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ৭৮ পয়েন্ট—অর্থাৎ খুবই কাছাকাছি। অন্যদিকে, বড় ধস নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের র্যাঙ্কিংয়ে। ১০ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে তারা দুই ধাপ পিছিয়ে ৯ নম্বরে নেমে গেছে এবং তাদের রেটিং এখন ৭২। ১০ নম্বরে অবস্থান করছে আয়ারল্যান্ড, যাদের রেটিং ৫০।
উল্লেখ্য, শীর্ষ ছয়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অস্ট্রেলিয়া (১৬৭) শীর্ষে আছে আগের মতোই। পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড (১২৭), ভারত (১২১), নিউজিল্যান্ড (৯৬), দক্ষিণ আফ্রিকা (৯০) ও শ্রীলঙ্কা (৮২)।
এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের জন্য একটি প্রেরণাদায়ী সাফল্য। যদি এই উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তাহলে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারবে। টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা হোঁচট খেলেও ওয়ানডেতে টাইগ্রেসরা এখন আশার প্রতীক।