বিশ্বজুড়ে যখন প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা, ঠিক তখনই বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রে এলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন— তিনি পরবর্তী পোপ হিসেবে কাকে দেখতে চান? জবাবে ট্রাম্প মুচকি হেসে বলেন, “আমি নিজেই পোপ হতে চাই। এটাই আমার প্রথম পছন্দ।” যদিও কথাটি তিনি রসিকতার ছলে বলেছিলেন, তবে তা সামাজিক মাধ্যমে ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এরপর কিছুটা গম্ভীর ভঙ্গিতে ট্রাম্প বলেন, “আসলে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি আমার অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। তবে শুনেছি, একজন মার্কিন কার্ডিনাল পোপ নির্বাচনের জন্য বিবেচনায় আছেন। তিনি যথেষ্ট যোগ্য।”
জানা গেছে, নিউ জার্সির নিয়ার্ক শহরের আর্চবিশপ কার্ডিনাল জোসেফ টোবিনকে পরবর্তী পোপ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিক ভ্যাটিকানের পোপ হননি। ঐতিহ্যগতভাবে পোপ নির্বাচনে ইউরোপ, বিশেষ করে ইতালির কার্ডিনালরাই এগিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন ল্যাটিন আমেরিকা থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ। তিনি ছিলেন অভিবাসন ও মানবাধিকারের পক্ষে সুস্পষ্ট কণ্ঠস্বর। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল উত্তপ্ত। বিশেষ করে, ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতি ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি ট্রাম্পকে আরও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর ভ্যাটিকানের দীর্ঘদিনের রীতি অনুসারে গোপন কনক্লেভ ডেকে পরবর্তী পোপ নির্বাচন করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩৫ জন কার্ডিনাল এই নির্বাচনে অংশ নেবেন। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শিগগিরই শুরু হবে নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া।
ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে কেউ কেউ মজা পেলেও, অনেকেই এটিকে অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছেন। তবে এটি নতুন কিছু নয়— ট্রাম্প প্রায়ই চমকপ্রদ মন্তব্য করে আলোচনায় থাকতে পছন্দ করেন।