সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা আগেই শোনা যাচ্ছিল। এবার সেটিই সত্যি হলো। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নিশ্চিত করেছে যে, ২০২৬ সালের আগে আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না দক্ষিণ এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সাফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি বছর হোম এন্ড অ্যাওয়ে ফরম্যাটে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে সদস্য দেশ এবং মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস-ফাইভ মনে করছে, সফল আয়োজনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালে ফিফা বিশ্বকাপ থাকায় সেই বছরের সঙ্গেই মিলিয়ে সময় ও স্থান নির্ধারণে অধিক মনোযোগ দেওয়া হবে। যদিও ম্যাচগুলো ফিফা উইন্ডোতে হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ হলে বাংলাদেশ প্রবাসী খেলোয়াড়দের পাবে, যেমন—হামজা চৌধুরী। তবে উইন্ডোর বাইরে হলে তাদের সার্ভিস পাওয়া সম্ভব হবে না।
প্রাথমিকভাবে সাফের ১৫তম আসর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল, সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিচ্ছিল অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। ২৪ মে প্রস্তাবিত সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও, তার আগেই আয়োজন স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হলো। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশসহ কোনো সদস্য দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি মিডিয়া এবং সাফের ওয়েবসাইট থেকে জেনেছেন, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশে সাফ নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেক, বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেক ও সামিত সোম, কিউবা মিশেল, কুইন সুলিভান এবং কাভান সুলিভানদের নিয়ে আলোচনার কারণে। ধারণা করা হচ্ছে, জুনের মধ্যেই আরও কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। এই প্রেক্ষাপটে টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ায় হতাশ হয়েছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।