ভারতের কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে গোষ্ঠীটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পেহেলগামে ঘটে যাওয়া এই হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে সরকারি কোনো স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর টিআরএফের আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরুতে এটি কেবল একটি অনলাইন প্রোপাগান্ডা সংগঠন হিসেবেই বিবেচিত হতো। তবে পরে এটি সক্রিয় জঙ্গি নেটওয়ার্কে রূপ নেয়।
ভারত সরকার ২০২৩ সালে টিআরএফকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। তাদের বিরুদ্ধে যুবকদের জঙ্গি কার্যক্রমে প্ররোচিত করা, উগ্রবাদী কনটেন্ট প্রচার এবং জম্মু-কাশ্মীরে অস্ত্র চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, টিআরএফের কার্যক্রম ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমিকিস্বরূপ।
সামরিক ইতিহাসবিদ শ্রীনাথ রাঘবন বিবিসিকে বলেন, টিআরএফ সম্ভবত লস্কর-ই-তইবার একটি সহযোগী সংগঠন, যারা আলাদা পরিচয় দেখানোর চেষ্টা করলেও মূলত একই উদ্দেশ্যে সক্রিয় রয়েছে। তার মতে, এই ধরনের সংগঠনগুলো যখন সীমাবদ্ধতায় পড়ে, তখন এমন হামলার মাধ্যমে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের দেখাতে চায় যে তারা এখনও সক্রিয় ও সক্ষম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে এখনো কিছু না বলায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়। এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক হামলাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।