বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার থেকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল অতিক্রম করে বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এটি বাংলাদেশের উপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
বুধবার (১৮ জুন) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে দেশের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। এসব অঞ্চলে নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার স্বাক্ষরিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে।
দিনভিত্তিক পূর্বাভাস:
১৮ জুন (বুধবার): বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকবে; দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
১৯ জুন (বৃহস্পতিবার): একই ধরণের আবহাওয়া বিরাজ করবে, তবে কোনো কোনো অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২০ জুন (শুক্রবার): আগের দিনের মতোই অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
২১ জুন (শনিবার) এবং ২২ জুন (রোববার): বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে, বিশেষ করে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে স্থির থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী ৫ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে নদী ও খাল-বিল অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি এবং নি¤œাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে।