বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রচলিত ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট প্যাকেজ, যার মূল্য ৭০০ টাকা, সেটি গ্রাহকদের জন্য ৫০০ টাকায় সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে আইএসপিএবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও জানানো হয়, এই নতুন মূল্যহারে মাসিক বিলের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করে তা আদায় করা হবে। আইএসপিএবি জানিয়েছে, বর্তমানে কোনো আইএসপি ৫ এমবিপিএস গতির প্যাকেজ দিচ্ছে না। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান গড়ে ১০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে। সেই বিবেচনায় নতুন প্যাকেজের শুরু মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, “স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫৩টি দেশের মধ্যে ৯৮তম। আমরা চাই এই র্যাংকিংয়ে আরও উপরে উঠতে। সরকার যদি সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ও রেভিনিউ শেয়ার প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে ২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ গ্রাহকই মাসিক বিলের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে চায় না, ফলে এটি আদায় করা যায় না। তবে এবার আইএসপিএবির সদস্যরা সম্মত হয়েছেন যে, সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যেই এই ভ্যাট আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আইএসপিএবি সব আইএসপিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, যেন তারা প্রতিটি সংযোগের মাসিক ফি অনুযায়ী ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করেন এবং মাসিক বিলের রসিদও প্রদান করেন।
এর আগে ২২ মে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ‘এক দেশ এক রেট’ নীতিমালার আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করে। তাতে বলা হয়, ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ মূল্য ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস-এর মূল্য ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেটের মূল্য ১,১০০ টাকা।