দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সব বিভাগীয় উপপরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এবার বৃত্তি পরীক্ষা চারটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে—বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও প্রাথমিক বিজ্ঞান (এই দুটি বিষয়ের প্রশ্ন সমানভাবে বিভক্ত থাকবে)। প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান হবে ১০০ এবং পরীক্ষার সময় ধরা হয়েছে আড়াই ঘণ্টা।
এছাড়া, পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাছাই করে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাতে হবে।
তিন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে:
১. সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
২. পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং
৩. সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা যথাসময়ে পাঠাতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ও প্রয়োজনীয় কেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করে বিভাগভিত্তিক একীভূত তথ্য আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে (adgeneraldpe@gmail.com) প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণে এমন স্থানকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে, যেসব কেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী ধারণের সক্ষমতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাসিক নির্ধারিত হারে বৃত্তি সুবিধা ভোগ করবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবে। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) চালুর পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ ছিল।