মালয়েশিয়া নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি খাতে শ্রমঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন সুবিধা ঘোষণা করেছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনগুলো ‘কেস বাই কেস’ ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সরকারি বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, তিনটি প্রধান খাত এবং ১০টি উপখাতে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রধান তিনটি খাত হলো:
১️⃣ বৃক্ষরোপণ (Plantation)
২️⃣ কৃষি (Agriculture)
৩️⃣ খনি ও খনন (Mining & Quarrying)
আর সুবিধাপ্রাপ্ত ১০টি উপখাত হলো:
নিরাপত্তা পরিষেবা (Security Services)
ধাতু ও স্ক্র্যাপ সামগ্রী (Metal & Scrap Materials)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ (Cleaning & Building Maintenance)
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা (Wholesale & Retail)
লন্ড্রি (Laundry Services)
রেস্তোরাঁ (Restaurants)
স্থলভিত্তিক গুদামজাতকরণ (Warehousing)
কার্গো হ্যান্ডলিং (Cargo Handling)
সরকারি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণকাজ (Public Project Construction)
মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (MIDA) কর্তৃক অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ (New Approved Investments)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
“এই সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার শুধু শ্রম চাহিদা পূরণ করছে না, বরং অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় মাদানি সরকারের অঙ্গীকারও প্রতিফলিত হচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যেসব নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিতে চান, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়ান স্টপ সেন্টার (OSC for Foreign Worker Management)-এ সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি আবেদন উপদ্বীপ মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ (JTKSM) এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার মূল্যায়নের মাধ্যমে অনুমোদন পাবে।
নিয়োগকর্তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব সহায়ক নথি জমা দিতে হবে এবং আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট খাতের প্রকৃত জনবল চাহিদা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। এই নমনীয় ও চাহিদাভিত্তিক নীতি শিল্প খাতগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হতে ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহায়তা করবে।
সরকারের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আগামী বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে মোট কর্মশক্তির মাত্র ১০ শতাংশের মধ্যে বিদেশি কর্মী সীমাবদ্ধ রাখার জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।