পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্নে শেরশাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) তার জামিন আবেদন অনুমোদন করে। শেরশাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০২৩ সালের ৯ মে’র দাঙ্গার সময় লাহোরের জিন্নাহ হাউসে হামলায় তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি ইমরানের বোন আলেমা খানের ছেলে।
এর আগে ২২ আগস্ট সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, একদিন আগে তার ভাই শাহরেজকেও আটক করা হয়েছিল। প্রথমে শেরশাহকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে এবং পরে ১৪ দিনের বিচারিক রিমান্ডে পাঠানো হয়। এ সময় তার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
২০২৩ সালে দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সামরিক ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা হয়, যার মধ্যে জিন্নাহ হাউসের ঘটনা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিবেচিত।
আজকের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন, মামলার চার্জশিট এখনো আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই শেরশাহকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হেফাজতে রাখা যাবে না। তিনি কোনো দাঙ্গায় অংশ নেননি বলেও দাবি করা হয়। যুক্তি শুনে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। এর একদিন আগে তার ভাই শাহরেজও ৯ মে’র সহিংসতার মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।
উভয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা, দাঙ্গায় অংশগ্রহণ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পুলিশ ভ্যান পোড়ানো এবং দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, সহিংসতার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান এবং প্রায় দুই বছর লন্ডনে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।