ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে বর্তমানে প্রায় ৬০০ রাশিয়ান কাজ করছেন। এর মধ্যে ২৫০ জন বিশেষজ্ঞ ইরানের বুশেহার পারমাণবিক কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতায় যুক্ত আছেন। পুতিন বলেন, “আমরা কখনো ইরানকে ছেড়ে যাব না।”
এই বক্তব্য তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে (SPIEF) এক সংবাদ সম্মেলনে রাখেন। এ সময় তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুতিন আরও জানান, ইরানের বুশেহার শহরে দুটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে বিষয়টি আলোচনা করেছেন। নেতানিয়াহু আশ্বস্ত করেছেন যে, বুশেহারের ওই এলাকা ইসরায়েল আক্রমণ করবে না।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইরানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, তাদের পরমাণু প্রকল্প রাশিয়ার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতে পারে—যদি ইরান সম্মত হয়। ইউরেনিয়াম যেন শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়েও নজরদারির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের ভাষায়, “ইরানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, তাই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”
রাশিয়া কি ইরানকে অস্ত্র দেবে—এমন প্রশ্নে পুতিন বলেন, জানুয়ারিতে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, তবে তাতে অস্ত্র সরবরাহের বিষয় নেই। তাছাড়া ইরান এখনও রাশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অস্ত্র দাবি করেনি।
শেষে পুতিন বলেন, “ইরানের নিরাপত্তা এবং ইসরায়েলের উদ্বেগ—উভয় বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। ইরান যেন শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে এবং ইসরায়েল যাতে এতে ভীত না হয়—এই দুই বিষয় একসঙ্গে সমাধান করা সম্ভব।”