শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা হতেই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে আবারও গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তান। কলকাতাভিত্তিক দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্ধ্যায় দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ফলে উরি, কাপওয়াড়া ও পুঞ্চে আবারও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জম্মুতে বাজতে শুরু করে সতর্কতামূলক সাইরেন, অম্বলা শহরে ঘোষণা করা হয় ‘ব্ল্যাকআউট’।
জানা গেছে, পাকিস্তানি সেনারা ভারতের সেনাঘাঁটি ছাড়াও বসতি এলাকাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসব আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনাদের পক্ষ থেকে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে জানান, “এখন জম্মুতে ব্ল্যাকআউট চলছে। শহরজুড়ে সাইরেন বাজছে।” তিনি এর সঙ্গে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশের ছবিও শেয়ার করেন।
ভারতের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান অন্তত ৫০০ ড্রোন পাঠিয়েছে দেশটির ভূখণ্ডে। এসব ড্রোনের টার্গেট ছিল সেনা অবস্থান ও কৌশলগত স্থাপনা। সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ক্রমাগত গোলাবর্ষণের অভিযোগও তোলা হয়েছে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে।
এমন অবস্থায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ১৯৬৮ সালের অসামরিক প্রতিরক্ষা বিধির ১১ ধারা অনুযায়ী সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে জরুরি অবস্থাকালীন বিশেষ ক্ষমতা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শুক্রবারই দেশের সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর প্রশাসকদের পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান সীমান্ত লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনাছাউনিগুলোর ওপর গোলাবর্ষণ করেছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনেরও চেষ্টা চালিয়েছে।
বর্তমানে পুরো অঞ্চলে পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।