সকালে ঘুম থেকে উঠেই বুক জ্বালা, পেট ফাঁপা বা বমি ভাব— এগুলো গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সাধারণ লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে ওষুধ খেতে অনেক সময় ইচ্ছা করে না। তবে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই মিলতে পারে আরাম। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এমনই কিছু ঘরোয়া সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথমত, গরম পানি দারুণ কার্যকর। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে, পাকস্থলীর অ্যাসিড হালকা হয় এবং গ্যাস্ট্রিক কমে। রাতে ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, পুদিনা পাতা পেট ঠান্ডা রাখে ও জ্বালাপোড়া কমায়। কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।
তৃতীয়ত, আদা গ্যাস্ট্রিকের প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। এক টুকরো আদা চুষে খাওয়া, আদা ফোটা পানি পান করা কিংবা দিনে কয়েকবার সামান্য আদার রস খেলে হজম ভালো হয় এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড কমে। চতুর্থত, ছোট হলেও লবঙ্গ বেশ উপকারী। এটি পাকস্থলীর গ্যাস কমায় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। মুখে ২–৩টি লবঙ্গ রাখুন, অথবা এলাচ ও লবঙ্গ গুঁড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। পঞ্চমত, জিরা পেটব্যথা ও গ্যাস কমাতে কার্যকর। এক চা চামচ জিরা ও সামান্য মৌরি গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া জিরা ফোটা পানি খাবারের পর খাওয়াও উপকারী।
এ ছাড়া কিছু বিষয় এড়িয়ে চললে সকালের গ্যাস্ট্রিক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যেমন— খালি পেটে চা বা কফি না খাওয়া, তাড়াহুড়া করে খাবার না খাওয়া, রাতে দেরি করে না খাওয়া এবং চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া কমিয়ে দেওয়া।
সকালে গ্যাস্ট্রিক মানেই প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে— এমন নয়। সঠিক খাবার নির্বাচন, সচেতন জীবনযাপন ও এই ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চললে ধীরে ধীরে সমস্যার উপশম মিলবে এবং প্রতিদিনের সকাল কাটবে আরামদায়ক।