ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সঠিক খাবার বেছে নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। ডায়েট মানেই খাওয়া বন্ধ করা নয়, বরং এমন খাবার খাওয়া, যেগুলো খেলে পেট ভরা থাকবে কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বাড়বে না। এজন্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান, বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম পেজ ফিট মম ক্লাব এমন ২০টি খাবারের তালিকা দিয়েছে, যেগুলো দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু ওজন বাড়ায় না। যদিও পুরোপুরি শূন্য ক্যালরির খাবার নেই, তবে এসব খাবারে ক্যালরির পরিমাণ এত কম যে, এগুলো খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। বরং এগুলো হজমশক্তি ভালো রাখে, প্রদাহ কমায় এবং অনেক ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ (PCOD)-এর ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
যে খাবারগুলোতে ক্যালরি কম
শাকসবজি: শসা, বোতল করলা, গোল করলা, করলা, মেথি পাতা, পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, জুচিনি, গাজর।
ফল: পেঁপে, পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি, স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি।
মসলা ও শাকপাতা: কারি পাতা, ধনে পাতা, আদা, রসুন, হলুদ।
এসব খাবারে প্রচুর আঁশ ও পানি থাকে, ফলে দীর্ঘ সময় তৃপ্তি মেলে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. রাকেশ গুপ্ত বলেন, কম ক্যালরিযুক্ত খাবার শুধু ওজন কমায় না, বরং শরীরকেও সুস্থ রাখে। যেমন—
পালংশাক: পুষ্টিকর, সালাদ বা স্মুদিতে খাওয়া যায়।
জুচিনি ও ফুলকপি: ভাত বা নুডলসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
তবে তিনি সতর্ক করেছেন, শুধু কম ক্যালরিযুক্ত খাবার নয়, পর্যাপ্ত প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিও ডায়েটে থাকতে হবে।
প্রোটিনের উৎস: গ্রিক দই, মসুর ডাল, কালো মটরশুটি, চিকেন ব্রেস্ট।
ভালো চর্বির উৎস: অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল।
এসব একসঙ্গে খেলে ওজন কমার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগবে না।
ওজন ঝরানোর জন্য সাজেস্টেড ডায়েট
ব্রেকফাস্ট: ওটমিল, গ্রিক দই ও বেরি।
লাঞ্চ: সবুজ শাক, গ্রিলড চিকেন, ছোলা ও সালাদ।
ডিনার: মেরিনারা সস ও টার্কি মিটবলের সঙ্গে জুচিনি নুডলস।
সারসংক্ষেপ হলো, ওজন কমাতে খাওয়াদাওয়া বন্ধ নয়, বরং স্মার্টভাবে খাবার বেছে নেওয়া জরুরি। শাকসবজি, ফল, ভেষজ মসলা, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি একসাথে থাকলে শরীরও থাকবে সুস্থ, আর ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।