ভারতের বিভিন্ন এলাকায় রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাতে অন্তত ৩৬টি স্থানে ৩০০ থেকে ৪০০ বার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। এসব হামলার অধিকাংশই ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাকিস্তান সরাসরি সেনাছাউনিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছে এবং ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা চালিয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর গোলাবর্ষণও করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
কর্নেল কুরেশি আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান রাতভর ৩০০ থেকে ৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এসব হামলা প্রতিহত করে এবং বেশ কিছু ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক ফরেনসিক তদন্তে ধরা পড়েছে, ভূপাতিত ড্রোনগুলোর কিছু তুরস্কে তৈরি হতে পারে।
এই হামলা পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি শহরে একযোগে হামলা চালায়। ভারত জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে তারা এই অভিযান চালিয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদিনজুড়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আরও বহু ড্রোন হামলা চালায় ভারত।
অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের পাল্টা হামলায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি যুদ্ধ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্বাঞ্চলে এ হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি দুই-তিন বছরের শিশু, সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন, যাদের মধ্যে ৯ নারী ও ২৮ পুরুষ রয়েছেন।