জাতিসংঘ ভারতের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গাকে চোখ বেঁধে আন্দামান–নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নেওয়ার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজে উঠিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে মিয়ানমারের জলসীমার ভেতরে একটি দ্বীপে সাঁতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন জানিয়েছে, ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ‘জোরপূর্বক প্রত্যর্পণ’ নীতির অংশ, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে। সংস্থাটি একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে ভারতকে সতর্ক করেছে।
এ ছাড়া আসাম রাজ্যের একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রায় ১০০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সীমান্তে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্যে, আটক রোহিঙ্গাদের ভারতীয় সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতে হাজির করা হয়নি, যা গুরুতর আইনি লঙ্ঘন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এক মামলার শুনানিতে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে আবেদনটি ‘চমৎকারভাবে লেখা গল্প’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করেছে এবং ৩১ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সাগরে ফেলে দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোর, বয়স্ক ও একজন ক্যানসার রোগীও ছিলেন, এবং অনেকে মারধর ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ও অমানবিক’ বলে অভিহিত করে ভারতের কাছ থেকে পূর্ণ ব্যাখ্যা দাবি করেছেন।