ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর জেলার গভীর জঙ্গলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিদ্রোহীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার, ২১ মে তারিখে সংঘটিত এই রক্তক্ষয়ী ঘটনায় নিহতদের সবাই মাওবাদী বিদ্রোহী বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ছত্তিশগড় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবেকানন্দ সিনহা জানান, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী নারায়ণপুরের এক প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে মাওবাদী নেতাদের অবস্থানের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। অভিযানের সময় বিদ্রোহীরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিতে শুরু হয় তীব্র সংঘর্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই ২৫ জনের বেশি মাওবাদী নিহত হন। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, মাওবাদী বিদ্রোহ ভারতের জন্য দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা হুমকি। ১৯৬৭ সালে চীনা নেতা মাও সেতুংয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। মূলত খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ ভারতের মধ্যাঞ্চলে প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার দাবিতে তারা সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিদ্রোহ ব্যাপক রূপ ধারণ করে, যখন প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় প্রায় ১৫-২০ হাজার মাওবাদী যোদ্ধার হাতে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পূর্বে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে, নতুবা তারা সর্বাত্মক অভিযানের মুখোমুখি হবে। গত বছর তিনি জানান, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে মাওবাদী বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে সরকার নিরবিচারে অভিযান চালাবে।