সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাসকটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ পরমাণু আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন’ এসেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। রোববার ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত আলোচনাটি ‘শুধু কথাবার্তার গণ্ডি ছাড়িয়ে বাস্তব অগ্রগতির’ দিকে এগিয়েছে। তিনি আরও জানান, পারস্পরিক বোঝাপড়ায় দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন।
তবে আলোচনায় অগ্রগতি থাকলেও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম যে কোনোভাবেই আলোচনার অংশ নয়, সে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন আরাকচি। মাসকটের এই বৈঠক ছিল ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষভাবে চতুর্থ দফার আলোচনা এবং এটি ছিল সবচেয়ে ‘বিতর্কিত ও কঠিন’—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ও ধ্বংস করার দাবি জানানো হয়, যা তেহরান দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক এবং এটি আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ দাবিকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সমঝোতায় পৌঁছাতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো ভেঙে ফেলা অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে সামরিক পথ খোলা রয়েছে।