গোপালগঞ্জে সহিংস পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জেলা জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। তবে দেশের অন্যান্য জেলার পরীক্ষাগুলো পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত হওয়া বিষয়টি হলো ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ১৭ জুলাইয়ের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছি। পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।”
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ঐ জেলার ১৭ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য জেলা ও বোর্ডের পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলবে। গোপালগঞ্জে স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জ জেলায় বুধবার সন্ধ্যা ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এর আগে গত ১০ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন কিছু পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট এবং ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।