২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও পাঁচবারের বিশ্বজয়ী ব্রাজিল। ৬ জুন ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোচ হিসেবে অভিষেক ঘটবে ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তির। বিশ্বমঞ্চে ব্রাজিলকে পুরনো কক্ষপথে ফেরাতে সেলেসাওরা এবার ভরসা রাখছে এই অভিজ্ঞ মাস্টারমাইন্ডের ওপর।
দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে আনচেলত্তিকে স্থায়ী কোচ হিসেবে ডাগআউটে এনেছে ব্রাজিল। নিজেদের ফুটবল ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে এই প্রথমবারের মতো একজন নন-ব্রাজিলিয়ানকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, টানা ব্যর্থতায় বিধ্বস্ত ব্রাজিল শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০০২ সালে। কাতার বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। তাই আনচেলত্তিকেই এখন শেষ ভরসা হিসেবে দেখছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলপ্রেমীরা।
আনচেলত্তির প্রথম স্কোয়াডেই ফুটে উঠেছে তার কৌশলগত চিন্তা। দলে নেই নেইমার, রদ্রিগো ও রাফিনহার মতো তারকা ফুটবলাররা। কেউ চোটে, কেউ আবার নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে। তবে আক্রমণ ও রক্ষণের ভারসাম্য রক্ষা করেই ইকুয়েডরকে হারানোর পরিকল্পনা আঁকছেন আনচেলত্তি। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ব্রাজিল, তাই এই ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া দলটি।
অন্যদিকে, একই দিন চিলির মাঠে আতিথেয়তা নিতে যাচ্ছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ৭ মাসের বিরতি শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। যদিও চিলির বিপক্ষে তিনি মাঠে নামবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। মেসি শেষবার দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন ২০২৪ সালের নভেম্বরে।
মার্চ মাসে মেসি না খেললেও, তখনই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ফেলে আর্জেন্টিনা। তবে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে স্কালোনি পাচ্ছেন না নিয়মিত একাদশের ছয়জন খেলোয়াড়কে। তাই সুযোগ পাচ্ছেন তিনজন নতুন মুখ। ১৪ ম্যাচে ১০ জয় ও এক ড্রয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা।