বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ১৮ জন নারী ফুটবলার। কোচও পাল্টা অবস্থান নেন তাদের বিপক্ষে। ফলে কিছুদিন ধরে দেশের ফুটবলাঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। তবে অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় আপাতত সেই সংকটের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
চুক্তিবদ্ধ এই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জন ফুটবলার বর্তমানে ভুটানে লিগ খেলতে অবস্থান করছেন। বাকি ৮ জন ঢাকায় বাফুফের ক্যাম্পে রয়েছেন। বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ নিশ্চিত করেছেন, “১৮ ফুটবলার চুক্তি করেছেন। যারা ভুটানে, তারা সেখান থেকেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দিয়েছেন।”
বর্তমানে ভুটানে অবস্থানরত ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন—সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও শামসুন্নাহার (সিনিয়র)। তারা অনলাইনের মাধ্যমে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন।
মাহফুজা কিরণ আরও জানান, “এর আগে ৩৫ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। এখন এই ১৮ জনের সংযুক্তিতে মোট ৫৩ জন নারী ফুটবলার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।” তবে চুক্তির অধীনে ফুটবলারদের বেতন সংক্রান্ত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। কিরণ বলেন, “বেতন নিয়ে আপাতত কিছু বলছি না, পরে বিস্তারিত জানাবো।”
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, কিছু খেলোয়াড়ের বেতন প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয় যে, ভুটানে থাকা ফুটবলাররা কবে দেশে ফিরবেন। ভুটানের লিগ শুরু হবে ১০ মে থেকে।
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরে নেপালে অনুষ্ঠিত উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর ৩০ জানুয়ারি, ১৮ নারী ফুটবলার ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে খেলতে অস্বীকৃতি জানান, যার ফলেই এ বিদ্রোহের সূচনা ঘটে।
আগামী ৩১ মে ও ৩ জুন, ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের নারী দল। এই ম্যাচকে সামনে রেখে কোচ বাটলার ডেকেছেন মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) এবং ঋতুপর্ণা চাকমাকে। তবে তারা এখনো অনুশীলনে যোগ দেননি এবং কবে নাগাদ ক্যাম্পে ফিরবেন, সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।