বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে আরেক বিদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ের সংযুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কানাডায় জন্ম নেওয়া ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার সামিত সোম অবশেষে বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এখন অপেক্ষা শুধু ফিফার অনুমোদনের। ফিফার সবুজ সংকেত পেলেই সামিত বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অংশ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, সামিত ইতোমধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন এবং ফিফার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির ছাড়পত্র মিললেই আর কোনো বাধা থাকবে না সামিতের জাতীয় দলের হয়ে খেলার পথে।
সামিতের বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি হলেও তার জন্ম ও শৈশব কেটেছে কানাডায়। তিনি ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের হয়ে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। বর্তমানে তিনি খেলছেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলেও সামিত এখন প্রস্তুত নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে।
বাংলাদেশ দলের সামনে এখন বড় পরীক্ষা ১০ জুন, এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। সেই ম্যাচে সামিতকে মাঠে দেখা যাবে কি না, তা নির্ভর করছে ফিফার অনুমোদনের ওপর। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে হয়তো সেদিনই জাতীয় দলের মাঝমাঠে দেখা যাবে বাংলাদেশের নতুন ‘মিডফিল্ড জেনারেল’কে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে বেড়ে ওঠা ফুটবলারদের মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ বেড়েছে, বিশেষ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর। গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন, যা প্রবাসী ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করেছে।
তবে এই পথের পথিক ছিলেন জামাল ভূঁইয়া, যিনি ডেনমার্কে জন্ম নিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম বিদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন। এরপর এসেছেন ফিনল্যান্ডে বেড়ে ওঠা তারিক কাজী। এখন সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে সামিত সোমের নাম।